ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

স্থায়ী হচ্ছেন সিভিল এভিয়েশনের দৈনিকভিত্তিক কর্মচারীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
স্থায়ী হচ্ছেন সিভিল এভিয়েশনের দৈনিকভিত্তিক কর্মচারীরা ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সিভিল এভিয়েশনের দৈনিকভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সদর দফতরের সদস্য (প্রশাসন) এ কে এম শাহিদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।



শাহিদুর রহমান জানান, আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) প্রথম পর্যায়ে চালক পদে ৩৪ জন ও পরে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ১ হাজার ১২৭ জনকে স্থায়ী করা হবে।

তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করছে তাদের বেতন দৈনিক ভিত্তিতে হয়। হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে তাদের স্থায়ী নিয়োগ অচিরেই শুরু হবে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এ নিয়োগ সম্পন্ন হবে। এর আগে জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণে গত ২২ জুন নিয়োগ কমিটি চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

তিনি জানান, আগামী ২৫ জুন নিয়োগ বোর্ড ৩৪ জন চালককে নিয়োগপত্র দিবেন। নিয়োগের শর্ত মেনে যোগ্যতানুযায়ী সবাইকে নিয়োগপত্র দেয়া হবে।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৪১৬ টি শূন্যপদে নিয়োগ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ১২৭ জনের নিয়োগ নিয়মিত করা হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিভিল এভিয়েশন হেডকোয়ার্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মচারীরা।

কর্মসূচিতে আন্দোলনরত সংগঠনের সভাপতি মো. শহীদুল্লা বলেন, জনবল বৃদ্ধি চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে করা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের আবেদনে এ সকল কর্মচারীর পদ শূন্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে করে বছরের পর বছর ধরে চাকরি স্থায়ী হওয়ার আশায় থাকা কর্মচারীরা এখন চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছেন।

বক্তারা জানান, সিভিল এভিয়েশনে দৈনিক ভিত্তিতে প্রায় দেড় হাজার কর্মচারী ২০ থেকে ২৫ বৎসর ধরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে শাহজালালসহ দেশের সকল বিমানবন্দরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে রয়েছেন। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। অথচ যারা পূর্বের কর্মচারী তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা তো দূরের কথা এই বিজ্ঞপ্তিগুলোতে তাদের আবেদন করারও কোন সুযোগ থাকে না।

এ অবস্থায় গত ২০১০ সালে ৪৩ ক্যাটাগরির প্রায় ৪০০ কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ওই নিয়োগ স্থগিত চেয়ে একই বছরের ৮ ডিসেম্বর কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়।

ওই পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কর্মচারীদের নিয়োগ স্থায়ীকরণের রায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
এমএন/আরইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।