ঢাকা, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১ সফর ১৪৪৭

এভিয়াট্যুর

আকাশপথে আরো যতো প্রত্যাশা সিলেটের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২৫, মার্চ ১৬, ২০১৭
আকাশপথে আরো যতো প্রত্যাশা সিলেটের সিলেটের প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ী উদ্যােক্তারা-ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কাস্টমসে হয়রানি থাকবে না। আচরণ হবে যাত্রীবান্ধব। ল্যাগেজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফ্লাইট উড়বে অনটাইমে। আধুনিক এয়ারপোর্টের সব সুবিধ‍াই থাকবে যাত্রীসেবায়। তাহলেই প্রকৃত অর্থে আন্তর্জাতিক সম্মান পাবে সিলেট ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।

বুধবার (১৫ মার্চ) ফ্লাই দুবাইয়ের ফ্লাইট উড্ডয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রুটে সরাসরি যুক্ত হওয়ার পর সিলেটের একমাত্র এয়ারপোর্টটি নিয়ে এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেন প্রবাসী সিলেটিরা।

এমনিতেই বাংলাদেশের প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সিলেট অঞ্চল।

তাই ওসমানী এয়ারপোর্টকে আন্তর্জাতিক করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রবাসী সিলেটিরা। বুধবার থেকে একই ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট আসা-যাওয়ার সুযোগ তৈরির পর এবার তারা মেলে ধরেছেন মান ও সেবা বিষয়ে প্রত্যাশার ঝাঁপি।

সিলেটের দেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বিদেশি ব্যবসায়ীদের অনেকেই চান সিলেটকে ঘিরে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহরের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ ঘটিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও পর্যটনে বড় ধরনের বিকাশ সাধন করতে। এমনকি সেভেন সিসটারের একটি কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে সিলেট ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকে ঘিরে-এমনটাও বলেছেন এ অঞ্চলের দেশি-বিদেশি প্রবাসী উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা।

ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রেসিডেন্ট শিল্পপতি ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন এ এয়ারপোর্টে ‘অনটাইম ফ্লাইট’, ‘দ্রুত ইমিগ্রেশন,’ এবং ‘ফাস্ট ট্রাক সার্ভিস’ প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন,  সবচেয়ে আধুনিক এয়ারপোর্ট হিসেবে ওসমানীকে দেখতে চাই। যেখানে কাস্টমসে কোন ঝামেলা হবে না। আচরণ হবে পুরোপুরি যাত্রীবান্ধব। ’

জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ কে আবদুল মোমেন এই বিমানবন্দর ঘিরে ভারত-বাংলাদেশের একটি ইকোনমিক ‘হাব’ গড়ে উঠা নিয়ে আশাবাদী।
তার ইচ্ছা ওসমানী বিমানবন্দরের পাশে একটি ‘ট্যাক্স ফ্রি’ শপিং মল খুলতে। যেখানে পাউন্ড, ডলার ও রিয়াল দিয়ে যে কেউ কেনাকাটা করতে পারবে। এটা করলে সিলেটের পর্যটন শিল্প যেমন বিকশিত হবে, তেমনি ভারতের সেভেন সিসটার থেকে বাংলাদেশে শপিং করতে আসবে লোকজন। প্রয়োজনে এখানে গাড়ির মার্কেটও করা যেতে পারে।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কমিউনিতে পরিচিত মুখ ও জকিগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইউকের প্রেসিডেন্ট মশিউর রহমান শাহীন বলেন, লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট পৌঁছে যেতে চাই। কিন্তু দীর্ঘযাত্রা এবং ঢাকায় বিরতি সব মিলিয়ে যে ভোগান্তি এখন হয় তার কারণে অনেকে আপনজনের কাছে ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারেন না।

তিনি বলেন, লন্ডন থেকে এতো যাত্রী সিলেটগামী যা বাংলাদেশের আর কোন গন্তব্যের প্লেনে দেখা যায় না।

সিলেটি বংশদ্ভূত টটেনহামের বাসিন্দা ও প্রবাসী সংগঠক আজাদ চৌধুরী বলেন,  এয়ারপোর্টে নেমে খুব দ্রুত বের হয়ে যেতে চাই। ল্যাগেজ পেতে চাই সঙ্গে সঙ্গে। তাহলেই এটা হবে প্রবাসীবান্ধব এয়ারপোর্ট।   তখনই বলতে পারবো যে সত্যিকার অথেই এটি আন্তর্জাতিক হয়েছে।

সিলেটের হোটেল স্টার প্যাসিফিক-এর ডিরেক্টর ও তরুণ ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা সালেহীন এফ নাহিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যটক মহলে পরিচিত করার এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ। একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকার দরকার তার সুবন্দোবস্ত অবশ্যই থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক যাত্রীর সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে পারে যাতে এই বিমানবন্দর-সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
 
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি তরুণ নেতা তামিম আহমেদ বলেন, খবরটা প্রবাসীদের জন্য আনন্দের। এখন থেকে সিলেট অঞ্চলের যাত্রীদের কষ্ট লাঘব হবে। সরকার বরাবরের মতই সিলেটবাসীর আশা আকাঙ্খার মূল্যায়ন করেছে।

প্রবাসী সাংবাদিক ও কমিউনিটি একটিভিস্ট হিসেবে যুক্তরাষ্টের নিউইয়র্ক থেকে মাহফুজ আদনান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক এয়ারপোর্টে যে ধরনের সুবিধা থাকে সেসব থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এসএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এভিয়াট্যুর এর সর্বশেষ