ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

প্লেনে চোর‍াচালান রোধে ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
প্লেনে চোর‍াচালান রোধে ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন/ছবি: রানা-বাংলানিউজ

ঢাকা: প্লেনে চোরাচালান রোধে সব এয়ারলাইন্সের কর্মীদের ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বুধবার (৩ মে) বিকেলে রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কনফারেন্সরুমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে ইউএস-বাংলার দুই কর্মীকে সততার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৪ সালে ইউএস-বাংলা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এরপর থেকে আমরা একদিন পরপর কর্মীদের নিয়ে মিটিং করি। ইউএস-বাংলার সব কর্মীকে শিখিয়েছি কীভাবে সৎ হতে হয়। কেননা প্লেনে কোনো যাত্রীর সম্পদ মিসিং হলে সেটি ইউএস-বাংলার নয়, আবার সরকারেরও নয়। এটি যাত্রীর সম্পদ। তাই কোনো যাত্রীর সম্পদ যেন মিসিং না হয় সেদিকে আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। আর এটাই হলো আমাদের সততার খেলা।

তিনি আরও বলেন, প্লেনে বিভিন্ন সময় অনেক যাত্রীর পণ্য হারিয়ে গেছে বরে শোনা যায়। কিন্তু ইউএস-বাংলা কখনও তাদের কর্মীদের কোনো যাত্রীর পণ্য ফেরত না দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়নি। বরং শিখিয়েছে কীভাবে সততার প্রমাণ দেওয়া যায়। আমি মনে করি, প্লেনে বিভিন্ন চোরাচালান রোধে সব এয়ারলাইন্সের কর্মীদের ট্রেনিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে চোরাচালান অনেক কমে যাবে। আমরা সততার যে নজির রেখে চলেছি সেটি অব্যাহত থাকবে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ার বিরল একটি ঘটনা। আমি নিজে তাই মনে করি। কেননা কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী কি আছেন, যিনি কোটি টাকার সম্পদ নিজে না নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন! এটি আমরা আমাদের কর্মীদের শিখিয়েছি।

এসময় ইতিবাচক সব কাজে বাংলানিউজ সবসময় পাশে থাকায় বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।  
 ইউএস-বাংলার দুই কর্মীকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান/ছবি: রানা-বাংলানিউজ
এয়ারলাইন্স কর্মীদের ট্রেনিংয়ের বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন যেটি বলেছেন সেটির ব্যবস্থা করা হবে।

বিষয়টি দেখতে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালককে সব এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি। এছাড়া এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মীদের সততার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খানকে বলেন নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ইউএস-বাংলার দুই কর্মীকে শুধু সার্টিফিকেট আর ক্রেস্ট নয়, তাদেরকে কিছু অর্থও দেওয়া হবে। এনবিআরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের হাতে সেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে।

সোমবার (১ মে) ইউএস বাংলার দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী কলকাতা থেকে আসা তাদের একটি প্লেনের সিটের নিচে একটি প্যাকেট দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। যে প্যাকেটটিতে ৭ কেজি স্বর্ণ পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই কর্মী হলেন- মো. আবদুল কাদের (২৯) ও মো. আলমাস হোসাইন (৩৮)।

আরও পড়ুন
** সততার অনন্য নজির ইউএস-বাংলার ২ কর্মীর
**সততার ট্রেনিং দিয়েছে ইউএস বাংলা
** ইউএস-বাংলার ২ কর্মীকে পুরস্কৃত করছে এনবিআর
** ইউএস-বাংলার ২ কর্মী ‘রাজস্ব যোদ্ধা’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
এসজে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।