ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

‘দুর্ঘটনার ২ মিনিটেই উদ্ধারকর্মী গেলে হতাহত কম হতো’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
‘দুর্ঘটনার ২ মিনিটেই উদ্ধারকর্মী গেলে হতাহত কম হতো’ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: নেপালের ‍ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে নিজেদের প্লেন দুর্ঘটনার বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটি ফ্লাইটকে দেওয়া ল্যান্ডিং ক্লিয়ারেন্স (অবতরণের অনুমতি) বাতিল না করেই অন্য ফ্লাইটকে অবতরণ বা উড্ডয়ন করতে দেওয়া আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যত্যয়। তাছাড়া, দুর্ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা গেলে হতাহতের সংখ্যা কম হতো।  
 
 

রোববার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এয়ারলাইন্সটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ৭১ আরোহী নিয়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনায় হতাহত ও পরবর্তী বিষয়াদি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

ইউএস-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ বলেন, দুর্ঘটনার এক মাস পর নেপাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি প্রাথমিক একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কাজে নিয়োজিত হন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত প্লেনযাত্রীদের কাছ থেকে আমরা যা জেনেছি, তাতে আমাদের ধারণা যে প্রকৃতভাবেই দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা নিয়োজিত হয়ে থাকলে হতাহতের সংখ্যা হয়তো কম হতো।
 
‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে আপনারা জেনেছেন দুর্ঘটনার আগে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে বিভ্রান্তিকর নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছিল। সেই টাওয়ার থেকে ইউএস-বাংলার বৈমানিকদের ল্যান্ডিং ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পর সেই ক্লিয়ারেন্স বাতিল না করেই এয়ারক্রাফটটিকে অন্যত্র হোল্ডিং করতে বলা হয় এবং একই সময় অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অবতরণ করতেও দেওয়া হয়। ’
 
ইউএস-বাংলার সিইও বলেন, একটি ফ্লাইটকে দেওয়া ল্যান্ডিং ক্লিয়ারেন্স বাতিল না করেই অন্য ফ্লাইটকে অবতরণ বা উড্ডয়ন করতে দেওয়া আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যত্যয় বলে আমরা জানি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।