ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

যেখানে অনন্য ইউএস-বাংলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
যেখানে অনন্য ইউএস-বাংলা

কুয়ালালামপুর (মালয়েশিয়া) থেকে: ‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’। এ স্লোগান দেশের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো গেলেও সেটা যেন নিরাপদে হয়, সে বিষয়টিকেই যে ইউএস-বাংলা গুরুত্ব দেয়, তা তাদের এ স্লোগানই বলে দেয়।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগামী ইউএস-বাংলার ফ্লাইটে চেপে বসতেই এয়ারলাইন্সটির শীর্ষ কর্মকর্তারা পুনর্ব্যক্ত করলেন নিরাপত্তার প্রশ্নে আপোষহীনতার কথা। বললেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সবসময় যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবাকে অগ্রাধিকার দেয়।

আর যাত্রীসেবা? সে বিষয়ে মুগ্ধতা শোনা গেলো ফ্লাইটের যাত্রীদেরই মুখে।

ইউএস-বাংলারই আমন্ত্রণে কুয়ালালামপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সকালই বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হলো। আন্তর্জাতিক টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করে ইমিগ্রেশনে আসতেই ইউএস-বাংলার কর্মীরা তাদের বুথের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন। এরপর পরিবেশন করলেন স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক নাস্তা। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন  করার পর মিনিবাসযোগে রানওয়েতে দাঁড়ানো প্লেনে উঠলেন যাত্রীরা। ফ্লাইট নম্বর বিএস৩১৫।  

নিরাপত্তা সম্পর্কে ব্রিফ করছেন ইউএস-বাংলার সিইও ইমরান আসিফ।  ছবি: বাংলানিউজপ্লেনের সামনেই ইউএস-বাংলার সিইও ইমরান আসিফ, পাইলট মশিউল আযম ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) কামরুল ইসলাম নিরাপত্তা সম্পর্কে অবহিত করেন যাত্রীদের।  

ইমরান অাসিফ বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সবসময় যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবাকে অগ্রাধিকার দেয়। তিন-চার স্তরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষেই ফ্লাইট ওড়াতে পাইলট আবেদন করেন।

পাইলট মশিউল অাযম বলেন, অামরা বিভিন্ন স্তরে প্রকৌশলীদের মাধ্যমে চেক করি, প্লেনে কোনো যান্ত্রিক ক্রটি অাছে কি-না, যখনই কয়েক স্তরের প্রকৌশলীরা রিপোর্ট দেন যে, সব কিছু ঠিক আছে, তখনই অামরা প্লেন অাকাশে উড্ডয়নের জন্য আবেদন করি। তারপরই অাকাশে উড্ডয়ন করি।

তাদের ব্রিফের পর যাত্রীরা নিজেদের আসন নেন। ফ্লাইটে যাত্রী নিরাপত্তার আরও নানা দিক বুঝিয়ে দেন কেবিন ক্রুরা। প্লেন যখন উড়তে উড়তে মেঘের রাজ্যে উঠে গেলো, অনেক যাত্রী জানালা দিকে উঁকি দিয়ে নিচের দিকটা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন।

মেঘের রাজ্যে উড়ছে ইউএস-বাংলার প্লেনঢাকা থেকে ৩ ঘণ্টার ভ্রমণে দুইবার চিকেন ও বিফ বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন প্রকারের নাস্তা পরিবেশন করা হয় যাত্রীদের মাঝে। চাহিদামতো চা অথবা কফিও নেন যাত্রীরা। কেবিন ক্রুদের অান্তরিকতা ও সেবায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
 
মো. আরিফ হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, অনেক প্লেনেই ভ্রমণ করেছি, কিন্তু ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সেবা সবার চেয়ে অনন্য।  

শর্মিলা নামের এক যাত্রী বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অামাদের গর্ব। দেশের টাকা দেশে রাখতেই বাংলাদেশি প্লেনে যাতায়াত করতে যাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।  

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ৭৬ আসনবিশিষ্ট দু’টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা। অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, দোহা, মাস্কাট, কাঠমান্ডু ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইন্সটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
টিএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।