ঢাকা, বুধবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

এভিয়াট্যুর

ফের ফ্লাইটে ফেরা নিয়ে শঙ্কা রিজেন্টের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩১, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
ফের ফ্লাইটে ফেরা নিয়ে শঙ্কা রিজেন্টের

ঢাকা: ফের ফ্লাইটে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বেসরকারি রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। করোনা ভাইরাসের শুরুতে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করলেও আর উড্ডয়নে ফিরতে পারেনি এয়ারলাইন্সটি।

কয়েক দফা ঘোষণা দিয়েও ফ্লাইট শুরু করতে না পারায় ফের ফ্লাইট শুরু নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।  

তথ্য বলছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ((বেবিচক)) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রতিষ্ঠানটির দেনা ছাড়িয়েছে পাঁচশ কোটি টাকা।  

বেবিচক প্রতিষ্ঠানটির কাছে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকার মতো পায়। এনবিআর পায় ১৯০ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত তাদের মার্কেটে বকেয়া আছে সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা।

রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী মার্চে ফ্লাইট শুরু করবে। যদিও প্রতিষ্ঠানটি গত ১০ মাসে একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছিল, তারা ফ্লাইটে ফিরছে। কিন্তু নানা কারণে আর ফ্লাইট শুরু করতে পারেনি এয়ারলাইন্সটি।  

বেবিচক বলছে, দেনা শোধ না হলে এয়ারলাইন্সটিকে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।

দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে গত বছরের মার্চ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে বেসরকারি এই এয়ারলাইন্সটি। সেই থেকে পাইলট এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আছেন অবৈতনিক ছুটিতে। বন্ধ হওয়ার আগে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা টিকিটের টাকাও ফেরত দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শঙ্কা, ভাড়ার দু’টি উড়োজাহাজ ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা গোটাবে প্রতিষ্ঠানটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিজেন্টের এক জ্যেষ্ঠ পাইলট বলেন, ‘স্টাফদের কিংবা বেবিচককে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা’।  

জানা গেছে, রিজেন্ট এয়ারে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২০ জন পাইলট। এদের মধ্যে ১১ জন ক্যাপ্টেন আর ৯ জন ফার্স্ট অফিসার। গত ১০ মাসে একেকজন পাইলটের বেতন জমেছে গড়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা করে। আর একেকজন ফার্স্ট অফিসারের প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

শুধু বকেয়া বেতনই নয়, বন্ধ হওয়ার পর পাইলটদের সক্রিয় রাখতে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণগুলোও শেষ করেনি রিজেন্ট। আন্তর্জাতিক বেসমারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়মানুসারে প্রত্যেক পাইলটকে নির্দিষ্ট সময় পরপর বাধ্যতামূলকভাবে সিম্যুলেটরে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হয়।

এয়ারলাইন্সটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ রায় চৌধুরী ব্যবসা গোটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আমরা মার্চ থেকে ফ্লাইট শুরু করবো। আমাদের এয়ারক্রাফট আসছে ফেব্রুয়ারির শেষে। সে হিসেবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।  

তিনি বলেন, বেবিচকের যে পাওনা আছে, সেগুলো তাদের যেভাবে কথা হয়েছে সেভাবেই প্রত্যেক মাসে মাসে আমরা পরিশোধ করছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনও আমরা পরিশোধ করবো।

রিজেন্ট এয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর। এক দশক যেতে না যেতে জোর ধাক্কা খেল এয়ারলাইন্সটি। বন্ধ হওয়ার আগে দেশের ভেতরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং আন্তর্জাতিক গন্তব্য কলকাতা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, মাসকট ও দোহায় ফ্লাইট চালাচ্ছিল এয়ারলাইন্সটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
টিএম/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।