ঢাকা: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ৫০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সম্মেলনের খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) খাদ্য উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ কথা জানান তিনি।
সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনের দু’দিন আগে অর্থাৎ ২০ অক্টোবরের মধ্যে খাদ্য উপ-কমিটি সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে বলেও সভায় জানান মায়া।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মায়া আরো জানান, সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলর, ডেলিগেট, দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দলের ৫০ হাজার নেতাকর্মীর জন্য খাদ্যের প্রস্তুতি রাখা হবে।
বিভাগ ভিত্তিক ১০টি বুথ তৈরি করে প্রতিটি বিভাগের নেতাকর্মীর জন্য বুথ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। ঢাকা বিভাগকে দু’ভাগে ভাগ করে দু’টি বুথ নির্দিষ্ট করা হবে।
১০টি বুথের প্রতিটিতে ১০০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। প্রতিটি বুথ পরিচালনার জন্য খাদ্য উপ-কমিটির দু’জন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য বিতরণ শুরু হবে।
সম্মেলনে মোট তিনবার খাদ্য সরবরাহ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন দুপুর- রাতে এবং পরের দিন দুপুরে।
খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠানকে। খাদ্য বিতরণের সময় স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি নিরাপত্তার রক্ষার জন্য দুইশ’ পুলিশ সদস্যকেও রাখা হবে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আমরা খাদ্যের জন্য আগে যে লোক সংখ্যা হিসাব করেছিলাম, তার চেয়ে লোক অনেক বেড়েছে। জাতীয় কমিটির সভায় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্যের ক্ষেত্রে যেনো কোনো রকম কার্পণ্য না হয়। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি’।
‘সম্মেলন সফল করার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, খাদ্য ব্যবস্থাপনা। এটি যদি সুন্দর, সুশৃঙ্খল না হয় তবে সম্মেলন সফল হবে না’।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সদস্য আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আসলামুল হক আসলাম, শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
এসকে/এএটি/এএসআর