ঢাকা: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পরিসর বাড়িয়ে ৮১ সদস্য করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদিত প্রস্তাব কাউন্সিলে পাসের জন্য তোলা হবে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এ প্রস্তাব অনুযায়ী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ৪ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য ২ জন বাড়ানো হয়েছে।
রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, এ সভায় দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রের সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র উপকমিটি এ প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করে। এ সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো কাউন্সিলে তোলা হবে। কাউন্সিলে পাস হলে তা কার্যকর হবে।
তবে একটি সূত্র জানায়, সভা মুলতবি করা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে মুলতবি সভায় আরও আলোচনা হতে পারে। নতুন কিছু সংযোজন-বিয়োজন আসতেও পারে।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে ৬ হাজার ৫৭০জন কাউন্সিলর অংশ নেবেন। সভায় এই কাউন্সিলরের তালিকাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে, দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা যারা জেলা থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন তাদের নাম ওইসব স্থানের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জ থেকে কাউন্সিলর করা হয়েছিলো। তিনি গোপালগঞ্জ থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী সংসদের প্রত্যেকে সদস্যই পদাধিকার বলে কাউন্সিলর হবেন। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা কমিটির কাউন্সিলরের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সেখানে নতুন কাউন্সিলর করা হবে। তৃণমূলের নেতাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দলের সভাপতি এ নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, ১২টি দেশের রাজনৈতিক দলের ৫২ জন নেতার সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসবেন সবচেয়ে বেশি অতিথি। ভারতের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ অঙ্গ রাজ্যের নেতারাও আসবেন। সেখান থেকে ১৪/১৫ জন আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া রাশিয়া, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া থেকেও রাজনৈতিক দলের নেতাদের আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
এদিকে, সম্মেলনের আগে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এটাই সর্বশেষ সভা। তবে, এ সভা মুলতবি করা হয়েছে। সভা চলতে পারে ২২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত। ২৩ অক্টোবর কাউন্সিলের নতুন কমিট নির্বাচন করা হবে।
এর আগ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি যেকোনো সময় সভা করতে পারে। বুধবারের সভা মুলতবি করার সময় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্যকে মুলতবি সভার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। যেকোনো সময় সভা ডাকা হতে পারে বলে তিনি নেতাদের জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
এসকে/পিসি