রমনা সোহরাওয়ার্দী থেকে: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে উৎসবে মজেছে রাজধানীর রমনা-সোহরাওয়ার্দী এলাকা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বলয়ও উৎসবের রংকে একটুও ফিকে করতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই কঠোর। সম্মেলনস্থলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ২ দিন আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন রমনা পার্কের দখল নিয়েছে পুলিশ। রমনা রেস্তোরাঁয় অবস্থান নিয়েছেন গণপূর্ত, বিদ্যুত ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তারা। মৎস ভবনসহ প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশের এপিসি, জলকামানসহ একাধিক গাড়ি।
কিন্তু নিরাপত্তার এই ব্যুহকে উৎসবে কোন বাধাই মনে করছেন না সম্মেলনে আগতরা। বরং নিরাপত্তার এই চাদর তাদের উৎসবে উষ্ণতাই বাড়াচ্ছে বলে মানছেন তারা।
মৌলভীবাজারের বড়লেখার সীমান্তবর্তী শাহবাজপুর থেকে সম্মেলনে এসেছেন শওকত আলী। তিনি এসেছেন সাধারণ কর্মী হিসেবে। কিন্তু কাউন্সিলর হিসেবে তার কার্ড না থাকায় তিনি মৎস্য ভবনের সামনে বসে মাইকে বক্তব্য শুনছিলেন। সম্মেলন কেন্দ্রে যেতে পারেননি বলে তার বিন্দুমাত্র অভিযোগ নেই।
শওকত বলছিলেন, ‘আমার সবচেয়ে আনন্দ যে দলের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে যে উৎসব চারদিকে চলছে, আমি তাতে অংশ নিতে পেরেছি। এটা আনন্দের, আবেগের।
অন্যদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারি থেকে আসা মুদি দোকানদার আকরাম হোসেন বলেন, ভেতরে আছেন কাউন্সিলরা। কিন্তু কাউন্সিল উদ্দেশ্যে সারা দেশ থেকে যারা এসেছেন, তারা এই দলের প্রাণ। তাই আমরা আনন্দ করছি। উৎসব করছি। আগেও সম্মেলনে এসেছি, কিন্তু এমনটা দেখিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
আরআই/
** নেতাকর্মীদের পদচারণা মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
** কাউন্সিলের বাইরে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী