ঢাকা: ‘২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সংসদ সদস্য, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের সব নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান- আপনারা নিজ নিজ এলাকায় কতোজন দরিদ্র, গৃহহারা, ঘর নেই, বাড়ি নেই, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী- তাদের তালিকা পাঠান।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাসকে কখনো আমরা প্রশ্রয় দেবো না। এর বিরুদ্ধে সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নিয়ে যাবো। বাংলাদেশের মাটি সন্ত্রাসবাদে-জঙ্গিবাদে ব্যবহার হবে না। এ দেশের ভূখণ্ড সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং প্রতিবেশী দেশের কোনো ক্ষতিতে ব্যবহার করতে দেবো না। দক্ষিণ এশিয়া হবে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন। আর বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এ সেতুবন্ধন আর শান্তিপূর্ণ দেশ হবে আমাদের’।
দেশে নারীদের সমান অধিকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার। উচ্চ পর্যায়ে সব জায়গায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্বের একমাত্র দেশ আমরা, যাদের সংসদে নেতৃত্বে চারজন নারী। জলবায়ু পরিবর্তনে নিজেদের অর্থায়নে চার্জ ফান্ড গঠন, আইন সংশোধন করা হয়েছে। আমাদের গৃহীত পদক্ষেপে বনায়ন ৭ থেকে ১৩ শতাংশ হয়েছে’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার ৯৭ শতাংশ থেকে আমরা ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়েছি। হতদরিদ্রের হার ১২ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। দেশে দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। শূন্যের কোটায় নামাবো। প্রত্যেক মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। কারিগরি শিক্ষা পাবে। পুষ্টিহীনতা দূর হবে। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছি। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে সবাই, ব্যবস্থা করা হবে সুপেয় পানির’।
‘দেশে কোনো অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালাবো। এখন ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। ৭৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। শিগগিরই শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবেন’।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের সমস্ত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ উন্নত করা হবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এ নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবো। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, তা বাস্তবে রূপ নেবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
এমইউএম/এমএমকে/এটি/আইএ/এএসআর