ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন। দেশের প্রত্যেক প্রান্ত থেকেই নানা শ্রেণী-পেশার নেতাকর্মী সমর্থকরা এসেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন প্রিয় দলের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি নির্বাচনের এ সম্মেলনে। ফলে সরগরম হয়ে উঠেছে ঢাবি ক্যাম্পাস।
কাউন্সিলর-ডেলিগেট ছাড়াও সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী। সম্মেলনস্থলের ভেতরে ঢোকার কার্ড না থাকায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্যাম্পাসজুড়ে।
সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর ১৪ পয়েন্টের রাস্তা বন্ধ রয়েছে। সারাদেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের গাড়ি বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। মল চত্বর, হাকিম চত্বর ও টিএসসিতে সবচেয়ে বেশি গাড়ি পার্কিং করা হয়েছে।
গাড়ি থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ( টিএসসি) মাঠ ও বারান্দা, শান্তির পায়রা চত্বর, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বর, হাকিম চত্বর, ডাকসু, কলা ভবন, মল চত্বর, স্মৃতি চিরন্তন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মোতাহার হোসেন ভবন, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠসহ ঢাবির পুরো এলাকা জুড়ে অবস্থান নিয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলর-ডেলিগেট না হতে পারা নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র এখন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ভিড়। সাজ সাজ রব রব কলেবরে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রাজনৈতিক কর্মীদের উৎসবমুখর এ পদচারণায় ঢাবি যেন রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রেই পরিণত হয়েছে।
কেউ কেউ ট্রাকে করে নেচে-গেয়ে আনন্দ করছেন। কেউবা মত্ত বাদ্য বাজনায়। তবে সবার চোখই আটকে যাচ্ছে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে। এখানে সম্মেলনের মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটি বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার বিশাল প্রতিকৃতি বসিয়েছেন। ১০ ফুটেরও বেশি লম্বা প্রতিকৃতির সামনে সবাই দাঁড়াচ্ছেন। ভাল করে কী যেন দেখে নিচ্ছেন। এরপর একটা সেলফি! কেউ কেউ দল বেঁধেও সেলফি তুলছেন।
নেত্রকোণা থেকে এসেছেন শামসুল হক। তিনিও সেলফি তুলে নিলেন। জিজ্ঞেস করতেই এ স্কুলশিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই। সরাসরি রাজনীতিও করি না, তবে সমর্থন করি। সম্মেলন কেমন হয়, দেখতে এসেছি’।
ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাহাত বাংলানিউজকে বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে যেন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উৎসব চলছে। বঙ্গবন্ধু আর নেত্রী শেখ হাসিনাকে পাশাপাশি দেখতে ভালো লাগছে। যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা। তাই সম্মেলনকে স্মরণীয় করে রাখতে সেলফি তুলছি’।
গাজীপুরের বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ আমানুল্লাহ বলেন, সম্মেলনে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আশা করছি, সফলভাবে সম্মেলন সম্পন্ন হবে। জননেত্রী সঠিক ব্যক্তিকে দল পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন’।
ময়মনসিংহ থেকে সম্মেলন দেখতে এসেছেন ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর মোকাম্মেল। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার ঢাকা এলাম সম্মেলন অনুষ্ঠানে। সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেখে ভালো লাগলো’।
এদিকে সম্মেলনে আসা অতিথিদের যেকোনো প্রয়োজনে তৎপর রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সকালে সম্মেলনের প্রবেশপথে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আগতদের খাবার পানি, কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা ও রাস্তার যানজট নিরসনে সহায়তা করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
ইইউডি/এসকেবি/এএটি/এএসআর