ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

তৃণমূলে উচ্ছ্বাস কাদেরে

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
তৃণমূলে উচ্ছ্বাস কাদেরে ছবি: দীপু- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় খুশি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা দলের নতুন সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কাউন্সিল শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।



ওবায়দুল কাদেরকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আবার নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করায় তারা অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকেও।
 
দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন শেষে কাউন্সিল ভেন্যু থেকে বের হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় বেশিরভাগ কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের। একই সঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেন, নতুন সাধারণ সম্পাদক দলকে আগামী নির্বাচনে জয়ী করে সরকারের ভিশন’২১২১ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন।
 
চট্টগ্রামের কাউন্সিলর মজিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘১/১১’র পরিস্থিতিতে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে ভূমিকা রেখেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাদের কঠোর ও সুনির্দিষ্ট অবস্থানের কারণে দল ২০০৮ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পেরেছিল। এরই পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি দু’বার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা করেছেন’।

‘কিন্তু দল বর্তমানে অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এখন আগামী নির্বাচনে দলকে বিজয়ী হতে হবে। এজন্য নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল। সে হিসেবে ওবায়দুল কাদের একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। তার নাম প্রস্তাব করায় বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে অভিনন্দন জানাতেই হয়’।
 
শরীয়তপুর সদর থেকে কাউন্সিলে যোগ দেওয়া শ্রমিকনেতা মুন্সী সালামত আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি একজন কাজের মানুষ। তাকে সাধারণ সম্পাদক করে দল একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি সারাক্ষণই রাস্তায় থাকেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকেন। জনগণও তার কাছে পৌঁছাতে পারে। তিনি তৃণমূলের চাওয়া-পাওয়া সহজেই বুঝতে পারবেন। আশা করি, তিনি নেত্রীর চাহিদাকে গুরুত্ব দেবেন’।
 
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ দলকে একটি ঐক্যবদ্ধ পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। সে ঐক্য ধরে রেখে আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে ওবায়দুল কাদের একজন দক্ষ নেতা বলেই আমি মনে করি। তিনি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে এ পর্যায়ে এসেছেন। দলের সবাই তার চেনা এবং পরিচিত। ফলে তিনিই পারবেন দলকে সুসংগঠিত রেখে সরকারের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে’।
 
হবিগঞ্জের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় দল নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবে। কারণ, তিনি ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দেওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনীতির ময়দানে মোকাবেলার ক্ষমতা তার রয়েছে। অন্যদিকে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে তার হরহামেশাই যাতায়াত আছে। ফলে তিনি দেশের তৃণমূলের খবর ভালোই রাখেন বলে মনে হয়। এটা দল গোছাতে তাকে সহায়তা করবে। এবং এর সুফল পাবে দল’।
 
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের ২য় দিনের শেষ অধিবেশনে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান আগের কমিটির তিন নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এরপর সকল কাউন্সিলর তাদের সমর্থন জানান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।