ঢাকা: বিএনপি অংশ না নিলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথা সময়ে হবে- স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আরও বলেছেন, আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, আগামী নির্বাচনে তারা মনোনয়ন পাবেন না।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি’র সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে কি-না বা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রয়োজন হলে ডাকা হবে। আমরা এই মুহূর্তে সংলাপের প্রয়োজন দেখছি না। যদি কেউ নির্বাচনে না আসে আমরা কি করবো! যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। তারা (বিএনপি) দেশ চালাতে চায় না।
অরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংবিধান আছে- সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন। আসলে বিএনপি’র সমস্যা ভয়কে জয় করতে পারছে না। তারা ভয়ের মধ্যে আছে। ৫শ’ লোকের মিছিল করতে পারে না। এতো সাহসের সংকট একটা দলে।
আমি বিএনপিকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি না, দুর্বল মনে করি না, সংলাপের প্রয়োজন হলে সংলাপ হতে পারে। এই মুহূর্তে সংলাপের প্রয়োজন নেই। গত নির্বাচনে বিএনপি এলো না। জাতীয় পার্টি অংশ নিয়ে বিরোধী দল হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দুর্বলতা কোথায়, দলে কোনো শুদ্ধি অভিযান চালাবেন কি-না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এতো বড় দল- এতো বড় পরিবার কিছু সমস্যা তো আছে। এটা স্বীকার করতে হবে। বাস্তবতা অস্বীকার করে তো লাভ নেই। ক্ষমতার সঙ্গে কিছু আবর্জনা ঢুকে গেছে। কিছু প্যারাসাইট আছে, এগুলো মাঝে মধ্যে বিরক্ত করে, অপকর্ম করে। এগুলো ঠিক করবো। ঘর ঠিক না হলে তো হবে না।
তিনি বলেন, আগেই বলে দেওয়া হয়েছে অপকর্ম যারা করছে, যারা পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে, তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পরবর্তী নির্বাচনে তাদের মনোয়নের বিষয়টি দলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ ও জঙ্গি-সন্ত্রাস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাস শেষ হয়ে গেছে মনে করার কোনো কারণ নেই। তারা হয়তো আরও বড় ধরনের হামলার জন্য তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানের অনেক জায়গায় এ ধরনের সন্ত্রাস হচ্ছে। সন্ত্রাস বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে এরকম আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই।
আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী নির্বাচন ও নতুন প্রজন্ম। আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার বিষয়টি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি দলকে আরও গতিশীল করা হবে। সরকার যতটা শক্তিশালী দলকে ততটা শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে সুন্দর সমন্বয় হবে।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সবিচালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শ্যামল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬/১৫১০ ঘণ্টা.
এসকে/এমআইএইচ/এটি