মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইনঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মধ্যে ভালো লোক এক ফখরুল সাহেব।
বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক আলিঙ্গন থেকে নিজেদের ছিন্ন করতে হবে। তা না হলে অপ্রাসঙ্গিক দল হওয়া সময়ের দাবি বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনের আর অল্প সময় বাকি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও তার দোসররা তলে তলে ভয়াবহ প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা নিষ্ক্রিয় হয়েছে মনে করলে ভুল করবো। একূল-ওকূল দুটোই হারাবো; সামলাতে পারবো না। এ কারণে মানবিক খাতিরে কাউরে নেতা বানাবো না। মানবিক কারণে নেতা বানালে কাজে আসবে না। কেউ মানবিক সমস্যায় পড়লে তাকে মানবিক দিক দিয়ে সহায়তা করবো।
সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পকেট ভারী করতে গিয়ে দলের মধ্যে বাইরের পরগাছা ঢুকাবেন না। সঠিক কর্মী নির্বাচন করতে সংগঠনের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করেন। আর ঘরের ভিতরের কলহ মিটিয়ে ফেলেন।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইতিহাস নিয়ে কানামাছি খেলে। ইতিহাস বিকৃত করে জবরদখল করে। স্বাধীনতা দিবস পালন করে কিন্তু স্বাধীনতার স্থপতিকে স্বীকার করে না, বিজয় দিবস পালন করে বিজয়ের মহানায়ককে মানে নাম, বলে ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতো তাহলে ৭ মার্চ তাদের মনে দাগ কাটতো, পালনও করতো, মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের ভাষণ একটি বিপ্লবের প্রদীপকে প্রজ্জ্বলিত করেছিলো। একটি দেশের স্বাধিকার আন্দোলন মুক্তির আন্দোলনে পরিণত হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির বিশ্বস্ত জায়গা। কারণ, তিনি বাঙালির স্বার্থে কখনও আপোষ করেননি।
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একে রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
এমসি/এমজেএফ