সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সুবলপুর নামক স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান চৌধুরী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন টিপুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ জানায়, বিকেলে টিপু যুবলীগ নেতা সানাহ উল্লাহ, সবুজ এবং ছাত্রলীগ নেতা সজিবসহ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিএনজিযোগে স্থানীয় কেএমহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম কিনতে রওনা হন।
এসময় টিপু সমর্থিতরাও পাল্টা আক্রমণ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে সানাহ উল্লাহ, সজিব, সবুজ, শহীদুল ইসলাম শামীম, আফসার, আবু তৈয়ব ও রিয়াদ হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে চেয়ারম্যান টিপুর সমর্থকরা জোট বেঁধে এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষের লোকজন সটকে যায়।
স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ আহতদের উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ সানাহ উল্লাহসহ গুরুতর আহত চারজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।
সংঘর্ষ চলাকালে দু’টি সিএনজি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন টিপু বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান চৌধুরীর কর্মী শাহাদাত, মামুন, আজগর, বাদশা মেম্বার, বশির মেম্বার, ঝিকু, আরিফ, জুয়েল, স্বপন ও মিলন বিনা উস্কানিতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। অল্পের জন্যে তিনি প্রাণে বেঁছে যান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান চৌধুরী দাবি করেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য এই ঘটনা সাজানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তার বা তার সমর্থকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
এইচএ/