রোববার (০২ এপ্রিল) জয়দেবপুর থানা সূত্রে এ খবর জানা যায়।
শনিবার (০১ এপ্রিল) রাতে জয়দেবপুর থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমান খান ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন সৌরভ বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন সবুজ, ছাত্রলীগ নেতা মো. রবিন, অনিক সরকার, নাজমুল করিম, রবিন হোসেন, তামিম, লিয়াকত হোসেনসহ ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে।
এদিকে, গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ আহত করার অভিযোগে জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমান খান বাদী হয়ে ২৮ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ১০ জনকে রোববার আদালতে হাজির করা হলে- আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কলেজের ছাত্রসংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিকে কেন্দ্র করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ ও তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর গাড়ির যাত্রা পথে বাধা দেন।
এ নিয়ে কলেজের ছাত্রলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াৎ হোসেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হন।
আহতরা স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ১২ জনকে আটক করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
আরএস/জিপি/টিআই
** ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ সুপারসহ আহত ১০