বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ‘আইপিইউ সম্মেলনের সফলতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেই ক্ষান্ত হননি।
আইপিইউ সম্মেলন সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক আইপিইউতে চিঠি দিয়েছিলেন, এই সংসদকে যেন আইপিইউতে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়। তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশের সংসদকে আইপিইউ যে শুধু সমর্থন দিয়েছে, তাই নয়। বরং সাবের হোসেন চৌধুরীকে চেয়ারপারসনও নির্বাচিত করেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এবং বিএনপির প্রতি চরম চপেটাঘাত’।
‘কুমিল্লায় আমরা অতীতেও জয়লাভ করিনি। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সীমা তার বাবার তুলনায় কম ব্যবধানে হেরেছেন। সুতরাং, কুমিল্লার এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় বেড়েছে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আগামী সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। কারণ, গত সোয়া আট বছরে বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের জোয়ার দেখেছেন। তাই নৌকাকে তারা বিজয়ী করবেন’।
‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন, তাই নয়। বরং, সফলতার সঙ্গে আইপিইউ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ বিশ্ব পরিমণ্ডলে আজ অবদান রাখছে। সেটিরই বহির্প্রকাশ হলো আইপিইউ সম্মেলনের সফল পরিসমাপ্তি’।
শেখ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, শাহদাত হোসেন টয়েল, অরুণ সরকার রানা, ন্ওশের আমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৭
এএসআর