শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মোহাম্মদ আলী দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই গ্রামের মৃত. ছোবহান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবু সাঈদ ও মোহাম্মদ আলী একটি প্রাইভেটকার যোগে তিতাস উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথে গৌরীপুর বাজারে জিয়ারকান্দি গোমতী সেতুর কাছে গেলে তারা সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন।
পরে আবু সাঈদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয় এবং যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অ্যাপলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার সাতদিন পর শুক্রবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ আলীও মারা যান।
এদিকে, হামলার ঘটনার পর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গৌরীপুর বাজার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাতদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ঘটনায় নিহত সাঈদের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের নামে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, হামলার ঘটনার ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশ তদারকি করছে।
আসামিদের ধরতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
এএটি/টিআই