শনিবার (০৬ মে) বিকেলে কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরপাড়ের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে জনসভাস্থলের পাশে তিনি ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদক রুখতে হবে। এ জন্য কাজ করতে হবে। জঙ্গিবাদ যেমন রুখে দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনি রুখতে হবে মাদক ব্যবসাও। কক্সবাজারের বদনাম আছে। এখান থেকে নাকি সারাদেশে ইয়াবা সাপ্লাই হয়। বন্ধ করতে হবে; যেই জড়িত থাকুক ব্যবস্থা নিতে হবে।
জড়িতদের রেহাই হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আওয়ামী সভাপতি বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ পেয়েছেন, উন্নয়ন-অগ্রগতি পেয়েছেন। আগামী যতো নির্বাচন আছে-মার্কা আছে- নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
আরও পড়ুন
অধিকারের কথা বলার সাহস ছিল না জিয়া-এরশাদ-খালেদার
আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হবে কক্সবাজার বিমানবন্দর
সাগর সে তার ধোয়ায় পা’টি
ছবিতে প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্র জলে পা ভেজানো...
৪ লেন হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক
কক্সবাজারকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা আমাদের কর্তব্য
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভের যাত্রা শুরু
ইনানী বিচে প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ
কক্সবাজারে বোয়িং চলাচলের উদ্বোধন
বোয়িংয়ে চেপে কক্সবাজারে নামলেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিএনপি নেত্রী জানতেন না। তিনি সংসদে তোলার পর উনি বলে দিলেন, ‘যতো মরার কথা, ততো মানুষ মরেনি’। আমি তখন বলেছিলাম, ‘কতো মানুষ মরলে আপনার ততো মানুষ হবে?’
‘‘আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেসময় ছুটে এসেছিলোম। যতোটা পেরেছি মানুষকে সহায়তা করেছি। রিলিফ দিতে এসে হুমকির মুখেও পড়েছি। আর এখন আমি শাসক না, আমি সেবক, সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি’’।
কক্সবাজারকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন হবে। ইতোমধ্যে শেষ জমি অধিগ্রহণ; অতি দ্রুত ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে। এছাড়া সড়কে চারলেনের কাজও শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্যাস সঞ্চালন লাইন চালু করেছি, ১০০টি শিল্প অঞ্চল হচ্ছে। মেরিন ড্রাইভ হলো এবার নাফ টরিজম কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের অধিকার রক্ষা করে জানিয়ে হাসিনা বলেন, বিশাল সমুদ্রসীমা জয়, স্থল সীমানা চুক্তি, গঙ্গা পানির সুরাহা- সবই আমরাই করেছি। অধিকারের কথা বলার সাহস ছিল না জিয়ার, না ছিল এরশাদ বা খালেদার। খালেদা জিয়া তো ভারত সফরে দিল্লির লাড্ডু খেয়ে গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলেই যান। দেশে এসে বলেন, ‘ওহ আমি তো ভুলেই গেছি...’। আওয়ামী লীগ এসে অধিকার আদায় করতে পেরেছে। আমরা যেমন বন্ধুত্ব রাখি, ন্যায্য দাবিও আদায় করতে ছাড়ি না, এটাই হচ্ছে আমাদের নীতি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য মন্ত্রী এবং স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় তিনি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান চলাচল উদ্বোধন করেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভের যাত্রা শুরু হয়। উখিয়া উপজেলায় ইনানী বিচের এই মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সকালে ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান মেঘদূতে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে এসেছিলেন। সন্ধ্যার দিকে বোয়িংয়ের ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এমইউএম/টিটি/এইচএ/আইএ