সোমবার (০৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপির অসহায়ত্ব দেখে আমরা খুব হতাশ হই।
গত জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা আলোচনার জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এখন মির্জা ফখরুল প্রতিদিন বলেন, ‘আমাদের একটু ডাকেন। আমরা কথা বলতে চাই’। অর্থাৎ তাদেরকে একটু ডাকার জন্য তাদের যে অনুনয়-বিনয় এটি দেখে আমাদের খুব করুণা হয়। তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বলে আওয়ামী লীগকে বলুন আমাদেরকে একটু ডাকার জন্য।
আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, আপনাদেরকে ডাকা হয়েছিলো। সে সময় যে কর্কশ ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন তা আমাদের এখনো মনে আছে। আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার জন্য আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করুন। তাহলেই জনগণ আপনাদের বিবেচনা করবে।
‘আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাগ করতে পারেনি’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা বিএনপিকে ভাগ করতে চাই না। আমরা চাই বিএনপি সুসংগঠিত হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। আজকে বাংলাদেশে যে ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এটি এভাবে মাথাচাড়া দিতে পারতো না; যদি ব্যাপকভাবে সংস্কৃতি চর্চা ও রবীন্দ্র চর্চা হতো।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ধর্মচর্চা ও সংস্কৃতিচর্চা একসঙ্গে চললে মানুষ ধর্মান্ধ হয়না। আজকের বাংলাদেশে দু’টি ধারা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও বিপক্ষের শক্তি। বিপক্ষের শক্তির হোতা খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপি। এ শক্তির অর্থ হচ্ছে রবীন্দ্র চর্চা করা যাবে না।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বাংলা বেতারের শব্দ সৈনিক সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিক, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
জেডএস