সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আয়োজকদের কারো দেখা নেই। ইতোমধ্যে হলরুমে এসে উপস্থিত প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
চলে এসেছেন মন্ত্রী; কিন্তু তাকে স্বাগত জানানোর জন্যও উপস্থিত নেই আয়োজকদের উচ্চ পদের কোনো কর্তা। অথচ মন্ত্রীকে কথা দেওয়া হয়েছিল অনুষ্ঠান সময় মতোই শুরু হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান রীতিমতো রেগে মঞ্চে বসতে অস্বীকৃতি জানান এবং চলে যেতে চান। এসময় কর্মীরা বিলম্ব হওয়ায় ক্ষমা চান। কিন্তু তখনও অনুষ্ঠানের সভাপতি অভিনেত্রী নূতন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদসহ অন্যরা কেউ উপস্থিত হননি।
কর্মীদের বহু অনুরোধে অবশেষে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানের সভাপতি ও অন্যান্য নেতারা আসেন। তড়িঘড়ি শুরু হয় সভা।
তখন প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন হত্যা করা হয় তখন ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার আশ্রয়। তিনি একজন মহৎ মানুষ। আওয়ামী লীগ থাকলে সবাইকে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু বিএনপি আসলে দেশের যে কি হবে তা চিন্তা করতে হবে!
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. অাবদুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি শিক্ষা জীবনে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবনে যাওয়ার পর থেকে তিনি আর রাজনীতিতে ফিরে আসেননি। কিন্তু সর্বদা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে সাহস দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশে তার অবদান অনেক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার। ২০০৯ সালের ৯ মে তিনি ইন্তেকাল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৭
ইউএম/আইএ