বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১২টা দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আইন ও বিচার বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ জোবায়ের হোসেন এবং পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুব হাসান রাব্বী আল বেরুনী হলের সামনে চায়ের দোকানে বসে ছিল।
পরে তার অনুসারী উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান, ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদুর রহমান, মোজাহিদুল ইসলাম, সাইফুল, মেহেদী, হাসিব, আশরাফী চৌধুরী, মারুফ, সাইফুল্লাহসহ ৮-১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাদের দু’জনকে রুম থেকে ডেকে হলের গেস্ট রুমে নিয়ে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়।
বর্তমানে মারধরের শিকার দুই ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকায় অবস্থান করছে।
এর আগে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদকেও হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাদ্দামের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আল বেরুনী হলে (সম্প্রসারিত) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন বার বার একই ঘটনা ঘটাচ্ছেন। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একই ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কাছে দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তারা দু’জন বরাবরই সিনিয়রদে সঙ্গে বেয়াদবী করে আসছিলো। তাই সিনিয়রা অতিষ্ট হয়ে তাদের চড়-ধাপ্পর দিয়েছে। আর এর আগে এরকম কিছুই ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনা শুনেছি। সমাধানের উদ্দেশে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা শিগগিরই বৈঠকে বসবো।
এ বিষয়ে আল বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম জসিম উদ্দিনকে ফোন করা হলে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
জিপি/এসএইচ