সাক্ষ্য-প্রমাণ ও নাম-পরিচয় না পাওয়ায় একই মামলা থেকে ১৯ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (৫ জুন) বিকেলে পোড়া কাঠ, বাঁশ ও ছবির কিছু অংশ বিশেষ আলামত হিসেবে আদালতে হস্থান্তর করে ১৭ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান রনি, আবু সাঈদ মুন্না, মানিক ডাক্তার, ফয়সাল, আব্দুর রাজ্জাক, আরিফ, সুমন, কামাল, সোহেল ওরফে বরিশাইল্যা সোহেল, ইবু ওরফে ইব্রাহীম, জনি, শাহ জাহান, নাছির উদ্দিন পিন্টু, সোলায়মান, জুয়েল, সুরমা সেলিম, গিয়াস উদ্দিন প্রধান, সাগর সিদ্দিকি, রঞ্জু মিয়া, আবুল হোসেন, ময়েজ উদ্দিন মজু, আশরাফুল ইসলাম ফরিদ, ফরিদ উদ্দিন, জুবায়ের আহম্মেদ, আশরাফ ও সৈয়দ আতিক।
এছাড়া অভিযোগপত্রে মির্জা মোবারক, মামুন, আলী আহম্মদ রতন, আবু সাঈদ, আমির মাহমুদ, আলমগীর ওরফে সবুজ, কাজল, আমির হোসেন নামে ৮ জনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম জানান, মামলার ধার্য দিনে অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। সেদিন এ বিষয়ে শুনানি হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইদুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোট কর্তৃক অবরোধ ও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাশে পঞ্চবটি এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালান বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি ভাঙচুর করে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর বোমা নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃস্টি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় এএসআই ফয়েজ উল্লাহ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
এমজেএফ