এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমানের কক্ষে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ শুনে বুধবার সন্ধ্যায় শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। দুই পক্ষের অনুসারীদের ক্যাম্পাসের আবাসিক হলগুলোতে পরস্পর বিরোধী শোডাউন দিতে দেখা গেছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সময়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও সংঘর্ষের আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরেই তারা একটু বেশি উত্তেজিত হয়েছিলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমুল ও দেবাশীষ একে অপরকে মারধর শুরু করেন।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে দেবাশীষ দাশ মুঠোফোনে বলেন, নাজমুল (সভাপতি) বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফার্মের (খামার) কাজ জোর করে নিজের নামে নিচ্ছে। এটা শুনে তাকে আমি জিজ্ঞেস করায় সে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এরপর জুনিয়ররা চলে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার আগে আমি প্রক্টরের রুমে ছিলাম। তখন আজিজ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, দেবাশীষ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। এটা শুনে আমি আজিজ ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেবাশীষকে খারাপ আচরণ করতে নিষেধ করলে সে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আজিজ ভাই ও আমাকে রুমে রেখে তালা মারতে চেয়েছিল দেবাশীষ। এসব নিয়েই একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনের এক মাস আগে তারিখ ঘোষণার পরও তারা সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেনি। পরশু দিন (১২ জুলাই) বর্ধিত কমিটি নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। এসব কারণেই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
নতুন কমিটি কবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের আগেই দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে ঈদের আগে না পারলে অবশ্যই জুলাইয়ে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগে নতুন কমিটি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
এএটি/