শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে নির্মাণাধীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে কর্মী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, সোনার বাংলা গড়ে তোলা।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারো সরকার গঠন করতে হবে। দেশবাসীকে বলবো, আওয়ামী লীগকে আবারও দেশসেবা করার সুযোগ দিন। বার বার আওয়ামী লীগই যেন দেশসেবার সুযোগ পায়’।
‘আওয়ামী লীগ দেশের অগ্রগতি এনে দিয়েছে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটি কেবল আওয়ামী লীগই পারে। জাতি যেন তা মনে রাখে’।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলুন। দেশের সেবা করুন, মানুষের সেবা করুন। কি পেলাম বা না পেলাম- সেটি বড় কথা নয়। দেশকে, মানুষকে কি দিতে পারলাম- সেটিই বড় কথা। জাতির পিতার আদর্শে দেশের সেবা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি যদি পারি, তাহলে আমার বাবা নিশ্চয়ই অনেক আগেই এটি করতে পারতেন। যারা তখন লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু সফল বিপ্লবী, দক্ষ সংগঠক, কিন্তু ভালো শাসক নন, তারা হয় স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন, না হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের দোসর হিসেবে কাজ করেছিলেন’।
‘বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের কাছে উদীয়মান সূর্য। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমি জানি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, তাদের পদলেহনকারী ও দালালদের অভাব নেই। তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, তারা ষড়যন্ত্র করবেই। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করবো। আওয়ামী লীগের হাতেই তা হবে। আওয়ামী লীগ দেশকে স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশের জন্য যা যা করা দরকার, করে গিয়েছিলেন। তিনি যদি আর ৫টি বছর বেঁচে থাকতে পারতেন, তাহলে তখনই বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো’।
‘আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছেন, সরকার মানে সেবক। দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস জড়িত। জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বে আত্মপরিচয়ের সুযোগ পেয়েছি। এই সুযোগ এনে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ পারে, আওয়ামী লীগই পারবে’।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। ২০২০ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই বছর আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী পালন করবো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে’।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে, দেশের শাসনতন্ত্র দিয়েছে। এদেশের যা কিছু অর্জন, আওয়ামী লীগই এনে দিয়েছে। এই সংগঠনই বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার পথ দেখাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই কার্যালয় আমরা ভালোভাবে গড়ে তুলবো। কেননা, আওয়ামী লীগ একটি প্রতিষ্ঠান। এই আওয়ামী লীগই বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই সংগঠন কেবল দেশকে এগিয়ে নেবে না, বিশ্বকেও পথ দেখাবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৭
এসকে/আরআইএস/এএসআর