ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৭
নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ

ঢাকা: নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকতে আগে থেকেই প্রচার কার্যক্রম শুরু করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রচার কার্যক্রম জোরদার করতে শিগগিরই কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে নামবেন।

এ জন্য ৮ জুলাই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ সভায় নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কার্যনির্বাহী সংসদের ওই সভায় নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে। কীভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি চালানো হবে, নির্বাচনের প্রচারে কী কৌশল নেওয়া হবে সে বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হবে। সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে প্রচারে নামা হবে। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রচার কৌশলের গাইড লাইন তৈরি করে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী তৃণমূল নেতাকর্মীরাও নির্বাচনী প্রচারে নামবেন।

কার্যনির্বাহী সংসদের পর দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ১৩ জুলাই এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সম্পাদকমণ্ডলীর এ সভায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতারা জানান, আগামী নির্বাচনে দলের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি পর্বে যাতে কোনো দুর্বলতা না থাকে সে জন্য আগেভাগে কার্যক্রম শুরু করা এবং প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকার কৌশল নেওয়া হয়েছে। প্রচার কাজের পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাদের গ্রাম ও পাড়া-মহল্লা পর্যায়ে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচিতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা অংশ নেবেন। পাড়া-মহল্লা পর্যায়ে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক জেলা নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতারা আরও জানান,  দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবেন। জেলা, উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে। এসব কর্মসূচির মধ্যে থাকবে জনসভা, সমাবেশ, বর্ধিত সভা ও কর্মী সভাসহ সাংগঠনিক কর্মসূচি।  

জনসভা, সমাবেশের কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা দুই মেয়াদের উন্নয়ন জনগণের মাঝে তুলে ধরা হবে। দলের বর্ধিত সভা, কর্মীসভার মাধ্যমে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

নির্বাচনী প্রস্তুতির এ সব বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং নির্বাচনী প্রচার দু’টোই একসঙ্গে চলবে। নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকার জন্য এসব কর্মসূচি নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই দলের অভ্যন্তরীণ যে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে তা দূর করা হবে। সরকার যে উন্নয়ন কাজ করেছে তা জনগণের সামনে ভালোভাবে তুলে ধরা হবে। আগামীতে আমরা কী করতে চাই সে সব বিষয়েও জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। এ জন্য সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। আগামী ৮ জুলাই দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিজয় সুনিশ্চিত করতে আমরা নির্বাচনী প্রচারের মধ্যেই আছি। জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম ক্ষমতায় আসার পর সেটা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সরকার যে সব উন্নয়ন করেছে জনগণের সামনে সে উন্নয়ন তুলে ধরতে প্রচার কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ধারাবাহিকভাবে জনসভা সমাবেশের কর্মসূচি চলবে। ’

বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থাও অত্যন্ত ভালো। এই অবস্থাকে ধরে রাখতে এবং আরও শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৭ 
এসকে/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ