দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নতুন মুখগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন এমন নেতারাও আছেন।
এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগের এমন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতা এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরাও রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দলের বর্তমান এমপিদের অনেকেই আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন হারাতে পারেন। এই সংখ্যা অর্ধশতাধিক হতে পারে। খোদ দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই পরিবর্তনের সংকেত দিয়েছেন।
সূত্রগুলো জানায়, এমপি হওয়ার পর যারা এলাকায় জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি, দলের মধ্যে গ্রুপিং, কোন্দল তৈরি করেছেন, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এলাকার জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তাদেরকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে না। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় জরিপ চালিয়েছেন। এই জরিপে অর্ধ শতাধিক এমপির বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ উঠে এসেছে বলে সূত্রগুলো জানায়।
আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই দলের এমপিদের জানিয়ে দিয়েছেন জনবিচ্ছিন্নদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
গত মে মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমপিদের কার কি অবস্থা আমি সব জানি, আমার কাছে সব তথ্য আছে। আমি জরিপ চালিয়েছি, আরও জরিপ চালানো হবে। জনগণের সঙ্গে, দলের নেতাকর্মীর সঙ্গে যাদের যোগাযোগ নেই, যারা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন তাদের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে পারবো না। ’
দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের পর বর্তমান বর্তমান এমপিদের অনেকেই আগামী মনোনয়ন হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন। আবার অন্য দিকে দলের মনোনয়নে এই পরিবর্তন আসার ইঙ্গিতে নতুনদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী নতুন যাদের নাম ইতোমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে তারা হলেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও মিসবাহউদ্দিন সিরাজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাউসার, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, ছাত্র লীগের সাবেক নেতা সাইফুজ্জামান শিখর, মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, শফি আহমেদ, ড. আওলাদ হোসেন, এএইচএম মাসুদ দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাউসার, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, ছাত্র লীগের সাবেক নেতা সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, সোহেল রানা টিপু, জহিরউদ্দীন মাহমুদ লিপটন, যুবলীগ নেতা ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, মঈনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, যুব মহিলা লীগের কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী, মাহজাবিন খালেদ, অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম মুক্তা, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৭
এসকে/আরআই