রোববার (১৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ইউনিসেফের যৌথ আয়োজনে জরুরি প্রসূতি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থমন্ত্রী।
নাসিম বলেন, সংবিধান অনুসারে আমরা চলছি ভবিষ্যতেও চলবো।
দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপক উন্নত হয়েছে বলে মন্ত্রী বলেন, আমরা যে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি তার প্রমাণ মিলছে আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
স্বাস্থ্যখাতে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে বহু আগেই ছাড়িয়েছি আমরা। আর তা সম্পন্ন হয়েছে এ সরকারের আমলেই। বিএনপির আমলে আমরা দেখেছিলাম কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ ছিলো। এমনকি নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস তারা বাদ দিয়েছিলো। আমি বলতে এ দিবস তো কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না। তাহলে এমন উদ্ধত আচরণ কেন আপনাদের? আমরা ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি।
এছাড়া মুক্তামণির চিকিৎসা, সীতাকুন্ডের কুসংস্কারাচ্ছন্ন এলাকার মানুষদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ইউএনএফপিএ-এর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সচিব সেরাজুল হক খান, ইউনিসেফের বাংলাদেশের রিপ্রেসেনটেটিভ সারা বোর্ডাস এডি, ইউএনেফপিএ-এর বাংলাদেশের রিপ্রেসেনটেটিভ রনডি অ্যান্ডারসন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মুস্তাফা সারোয়ার, বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান অ্যামব্যাসেডর এহন সিওং-দো, সহ প্রমুখ ব্যক্তিরা।
"নিরাপদ প্রসব চাই, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চল যাই" স্লোগানকে সামনে রেখে বক্তারা বলেন, গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুহার গত ২৫ বছরে ৬৯ভাগ কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে বর্তমানে এখনও প্রতিদিন গড়ে ১৫জন মা গর্ভাকালীন জটিলতায় মারা যাচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুলনা বিভাগে।
শুধুমাত্র হাসপাতালমুখি হলে এ সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে না। হাসপাতালগুলোকে আরও উন্নত করতে হবে। এছাড়া শিশুমৃত্যুহার ’০১ সালে প্রতি ১০০০জনের মধ্যে ৩২২ থাকলেও ২০১৫ সালে তা ১৭৬-এ কমে এসেছে। ’৩০ সালের মধ্যে গর্ভকালীন মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৭০ জন-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধপরিকর।
এছাড়া বাল্যবিয়ের হার কমানোর ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথাও বলেন বক্তারা।
এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত প্রসূতি মা ও শিশু বিষয়ক সেবা প্রদানকারী ৫৬জন চিকিৎসককে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে তারা পুরস্কার ক্রেস্টটি গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমএএম/এএটি/