মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) দুপুরে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের পরপরই পাঁচ শতাধিক চেয়ার-টেবিল তছনছ ও অতন্ত ১০টি ফ্যান ভাংচুর করা হয়।
নবীণবরণ অনুষ্ঠানে শোকের মাসের আবহ না থাকার অভিযোগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের বক্তব্য দিতে সুযোগ না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। দুপুরে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলনায়তনের ভেতরে প্রবেশ করে পাঁচ শতাধিক চেয়ার-টেবিল এবং ১০টি ফ্যান ভাংচুর চালায়। ভাংচুরের আগে ও পরে ক্যাম্পাসে মিছিলও করেন তারা।
জানতে চাইলে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেন বলেন, ‘ আজ থেকে শোকের মাস শুরু হলেও নবীণবরণ অনুষ্ঠানে শোকের কোনো আবহ ছিলো না। আমাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ ক্যাম্পাসে কেউ রাজনীতি করতে পারবেন না বলেও ঘোষণা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সামান্য ভাংচুর চালিয়েছে কর্মীরা।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে দাওয়াত দিয়েছিলেন। তাদের সকালে ফোনও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আসছি, আসছি বলে আসতে অনেক দেরি করে। প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা থাকায় তাদের অসুবিধা হচ্ছিল। এজন্য আগেই অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে শোকের মাসের জন্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। শোকের মাসের কথা বলেই অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
তবে, ভাংচুর চালানো হলো কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, সম্প্রতি একটি ব্যাচের পরীক্ষার প্রায় ৯শ' ৪০জন শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৯শ' জনই পাস করেছে। কিন্তু ছাত্রলীগের ছেলেরা বলছে, তাদের অনেক ছেলেরা ফেল করেছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান অধ্যক্ষ।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/