রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠায় রাজপাড়া থানা পুলিশ।
মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি খাতুন বাদী হয়ে শ্লীতাহানি, সরকারি কাজে বাধা দান এবং মারপিটের অভিযোগে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় ছাত্রলীগ নেতা হিমেল এবং তার বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
রোববার সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে নার্সের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ ওঠে। শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকের এ ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালের নার্সদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্তব্যরত নার্সরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হিমেল ও তার অসুস্থ বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশ আটক করলে দুপুরের পর নার্সরা কাজে যোগ দেন। এ সময় রামেক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হিমেল রামেক হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তার বাবা সাবেক সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে দেখতে যান। এ সময় তিনি দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের কাছে বাবার চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে যান। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে হিমেল ফেরদৌসি খাতুন নামের এক সিনিয়র স্টাফ নার্সের ওপর চড়াও হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নার্স হিমেলের গালে চড় দেন।
এ সময় হিমেল আরও উত্তেজিত হয়ে ফেরদৌসি খাতুনকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। পরে বিছানা থেকে উঠে এসে হিমেলের বাবা ফেরদৌসি খাতুনকে চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করেন। তিনি ওই নার্সের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন রামেক হাসপাতালে কর্তব্যরত একাধিক সিনিয়র স্টাফ নার্স। ঘটনার পর হাসপাতালের সব নার্সরা কাজ ফেলে কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা হিমেল ও তার বাবা জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এসএস/এমজেএফ