তিনি বলেন, দেশের মানুষ জানে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছিল বলেই তারা এই দিনে তথাকথিত জন্মদিন পালন করতে চায়। কিন্তু তারা এ ধরনের অপচেষ্টার মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে ঘৃণা কুড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
সভায় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। এখনও কিছু খুনি দেশের বাইরে পালিয়ে আছে। যেসব দেশে এসব খুনিরা পালিয়ে আছে সেইসব রাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানাবো, খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে বাংলাদেশে তাদের ফেরত পাঠানোর।
তিনি বলেন, ২১টা বছর যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার হয়নি, খুনিরা যখন পার্লামেন্টে ছিল, তখন তো কেউ বলেনি এই পার্লামেন্টের লোকগুলো অযোগ্য। সেদিন কোথায় ছিল আদালত?
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য, রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ২১ বছর ধরে কোনো সরকার উদ্যোগ নেয়নি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার করার। এমনকি তাদের পার্লামেন্টে বসিয়ে পার্লামেন্ট কলঙ্কিত করেছিল। তখন কোথায় ছিল ন্যায়বিচার?
নসিম বলেন, যখন কালো আইন সংবিধানে লেখা হয়ে গেছে, হত্যার বিচার হবে না। তখন কেন হস্তক্ষেপ করলেন না? কেন বললেন না? কেউ রুল জারি করলেন না? কেন নির্দেশ দিলেন না হত্যার বিচার করতে হবে, এ আইন বেআইনি। খুনিরা যখন পার্লামেন্টে ছিল, তখন কেন বললেন না এ পার্লামেন্টের লোকগুলো অযোগ্য। তখন তো কোন বিচারককে কথা বলতে দেখিনি। কোনো বিচারক তো সাহস করে কথা বলেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
এসকে/এমজেএফ