তিনি বলেছেন, বিশ্বের কোনো প্রধানমন্ত্রী নেই, যিনি শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলেন। সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের বারগেনিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।
জাতির জনক বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৯ আগস্ট) মহিলা শ্রমিক লীগের জমায়েত ও শোকর্যালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মতিয়া চৌধুরী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশ হাইকোর্টের রায়ে নয়, কোনো জেনারেলের হুইসেলে নয়, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ত্রিশ লাখ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আজকে অনেকেই অনেক কথা বলছেন, কারো মা দ্রৌপদী হতে পারে, কিন্তু বাঙালি জাতির পিতা একজনেই। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন জাতির জনক একজন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, আজকে কথায় কথায় হাইকোর্টে রিট হয়, রুল হয়। বিএনপির সময় আদমজীতে গুলি করে শ্রমিক মেরে ফেলা হয়েছিলো, তখন কোথায় ছিল রুল-রিট। হাজার হাজার শ্রমিককে মেরে ফেলে হয়েছিলো।
মানুষ হত্যাকারীরা ইসলামের অনুসারী নয় জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ অাগস্ট, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এবং এবারের ১৫ আগস্ট— সব ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। পান্থপথের হোটেলে যে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, তা যদি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হতো, তবে প্রধানমন্ত্রী শুধু নন, হাজার হাজার মানুষ মারা যেতো। ইসলামের নামে যারা মানুষ হত্যা করে, তারা ইসলামের অনুসারী নয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হোক, কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন কৃষিমন্ত্রী।
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রওশন জাহান সাথীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংগঠানিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
এমসি/এইচএ/