সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা পরিষদ থেকে এবছর মথুরাপুর হাট ইজারা নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আল-পহলাল।
সেই ঘরের দখল নিয়ে মথুরাপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
এদিকে রোববার (২০ আগস্ট) সন্ধায় অবৈধ দোকান ঘরের সামনে চুলা তৈরি নিয়ে শ্রমিকলীগ ও যুবলীগ নেতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে সোমবার সকালে আবারও শ্রমিক লীগ নেতা ও তার লোকজন যুবলীগ নেতার দখলে থাকা একটি দোকান ঘর ভাঙচুর করে।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তার দখলে থাকা দোকান ঘরে হোটেল ব্যবসা করার প্রস্তুতি হিসেবে চুলা তৈরি করা হচ্ছিলো। এতে শ্রমিক লীগ নেতা বাধা দেয়। পাশাপাশি দোকান ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বলে দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে শ্রমিকলীগ নেতা মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দোকান ঘরের দখল নিয়ে আমিনুলের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো তার। এরই জের ধরে তার শ্যালক মজনু মিয়াকে রাস্তায় মারধর করে টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়েছে।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তার দোকান ঘরের ভেতর কয়েকটি কাঁচ ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি করেন শ্রমিকলীগের এই নেতা।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি