রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কাকরাইলে ইনস্টিটউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ-প্রেক্ষিত পেশাজীবীদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভার প্রবন্ধ উপস্থাপনার সময় শ ম রেজাউল করিম বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এমন একটি রায় দিয়েছেন, যা নিয়ে মীমাংসিত ইস্যুকে অমীমাংসিত করার চেষ্টা চলছে।
‘আর সেই বক্তব্যকে ভর করে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, যারা বিএনপির পৃষ্টপোষকতায় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। রায়ের একটি অংশে (পরশন) বাংলাদেশে কোনো কিছু নাই, এমনভাবে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, দেশে দুর্নীতি চলছে, পার্লামেন্ট ডিস ফাংশনাল, বেসিক হেলথ কেয়ার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। ব্যুরোক্র্যাসি ধংস হয়ে গেছে। শুধুমাত্র বিচার বিভাগ কোনোমতে নাক উচু করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। ’
তিনি বলেন, এই রায়ের পর্যবেক্ষণকে কেন্দ্র করে ১/১১ এর কিছু কুশীলব নতুন করে তাদের আস্ফালন শুরু করেছে। সেই রকম একটি সময় পার করছি আমরা। ষড়যন্ত্রকারীরা পঁচাত্তরে যেমন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল, এখনও মাঝে মাঝেই সক্রিয় হয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
এই চক্রান্ত মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
আগামী একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, নিশ্চয়ই সংলাপ হবে, কিন্তু সংলাপ কাদের সঙ্গে হবে? যে দলটি এখনও বিশ্বাস করে ২১ আগস্টের জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী, যে দলটি এখনও বিশ্বাস করে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যোই গ্রেনেড ছিল। সেই দলের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমরা বাধ্য করবো? এটা বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
আইডিইবির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএফইউজে-এর সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, আবু আহমেদ মানাফী, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন ও হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৭
এসএম/এমএ