তিনি বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেনি। আমরা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ চেয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেতুভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অর্ভ্যথনা জানাতে উত্তরা-বনানী সড়কের দুইপাশে অবস্থান নেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদেরও সমালোচনা করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেও তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তারা রাস্তায় দাঁড়ায়নি। কিন্তু বিএনপি তাণ্ডব চালিয়েছে।
‘তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য রাস্তায় সৃষ্ট যানজটের কারণে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের দেওয়া প্রস্তাবনাকে নির্বাচন কমিশনও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থের প্রস্তাব বলে মনে করেছেন। আমরা দলীয় স্বার্থে প্রস্তাব দিইনি, জনস্বার্থে এসব প্রস্তাব দিয়েছি।
‘নির্বাচন কমিশনের কাছে সহায়ক সরকারের যেসব দাবি বিএনপি দিয়েছে তা কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত নয়। আরেকটা ভুল ব্যাখা দিয়েছে তারা। আমরা ১৯৯৮ সালের প্রচলিত আইনের আলোকে সেনাবাহিনী চেয়েছি। ’
বৈঠকে র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প নির্মাণে সেতু বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে চীনের নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ও জিয়াংসু প্রোভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঝাং শিয়াও য়্যু নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, বিআরটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সানাউল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭/আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা
এসএ/এমএ