রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাকুন্দিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্নপূর্ণা দেবনাথ ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন।
এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে রাত ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় পৌর সদর ঈদগাহ্ মাঠে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর পূর্বঘোষিত জনসভা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা ও পৌর যুবলীগ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে একই স্থানে একই সময়ে জরুরি সভা আহ্বান করে মাইকিং করা হয়।
এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রোববার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর নেতৃত্বে সভাকে সফল করার লক্ষ্যে মিছিল করেন। এর ঘণ্টা দু’য়েক পরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ তাদের সভাকে সফল করার লক্ষ্যে পাল্টা মিছিল বের হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেন স্বপন, নারান্দী ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল হাকিম, ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক একরাম হোসেন টিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এখলাছ উদ্দিন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হক দেওয়ান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুবেল মিয়া প্রমুখ।
পরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এতে পাকুন্দিয়া বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
পাকুন্দিয়া ইউএনও অন্নপূর্ণা দেবনাথ বাংলানিউজকে জানান, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সমগ্র পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাত ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এ পরিস্থিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান অন্নপূর্ণা দেবনাথ।
বাংলাদেশ সময় ০২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
ওএইচ/