নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, দলে ভালো লোকদের নিয়ে আসেন। দুর্নীতিবাজ, অপকর্মকারী ও স্বাধীনতা বিরোধী অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দল ভারি করার দরকার নেই।
বুধবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্য নবায়ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চিহ্নিত কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। এছাড়া চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধীদেরও আওয়ামী লীগে স্থান নেই। আওয়ামী লীগে যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করছে, তাদের চিহ্নিত করুন। এদের দলে রাখা যাবে না। এরা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এদের শিগগিরই দল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চরণ করেন তিনি।
ছাত্রলীগের যেসব কর্মীরা টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত রয়েছে তারা অনুপ্রবেশকারী উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকে টেন্ডারবাজরা ছাত্রলীগে প্রবেশ করেছে। এরাও ছাত্রলীগের সুনাম ও ঐতিহ্য ধ্বংস করতে চাই। এদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এদের চিহ্নিত করে অচিরেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ইউনেস্কো ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নয়, সারাবিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা, মহান স্থপতি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সামনে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু দলের প্রধান শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। বিগত সময়ে রাজশাহীর সিটি মেয়র হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে লিটনকে আবারো নির্বাচিত করতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন যতোই হোক, আচরণ ভালো করতে হবে। দলীয় নেতাদের আচরণ খারাপ হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এর প্রভাব পড়বে। তাই আচরণ সংশোধন করতে হবে। এছাড়া নারীদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের অবহেলা করলে চলবে না। সম্মান করতে হবে। কারণ দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী।
এ সময় ফেনীর ঘটনার কথা উল্লখ করে তিনি বলেন, বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীরাই সম্পৃক্ত। তারা আবার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এজন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। দলকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, এসএম কামাল হোসেন, সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আয়েন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেছা তালুকদাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/