রোববার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ দাবি করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইদ হাসান মিন্টু’র মুক্তি দাবিতে এ সভার আয়োজন করে ‘সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম’।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমি একটি আগাম কথা বলি, দেশের পরবর্তী নির্বাচন যদি ন্যূনতম অবাধ-সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দেয়, তবে আওয়ামী লীগই নির্বাচন বয়কট করবে। কারণ অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নয়। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপি এখনও শেখ হাসিনার জন্য গলার কাঁটা। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ২০১৪ সালে যে যে কারণে আমরা নির্বাচনে যাইনি, সেই কারণে আমরা আগামী নির্বাচনে যেতে পারি না।
সরকার জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে তারা (আওয়ামী লীগ) বৈঠক করছে, কিন্তু তাদের বাগে আনতে পারছে না। মানে তাদের মাশুলটা বেশি দিয়ে ফেলছে তো। সেজন্য নিচের স্তরের নেতা-কর্মীরা কোনো অবস্থাতেই এটা মেনে নিতে পারছে না।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এমএসি/এইচএ/