শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৩১ অক্টোবর ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের একাংশের নেতা-কর্মীদের দায়ের কোপে মারাত্মক আহত হন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ মাসুম।
এ ঘটনায় নগরীর জয়নুল উদ্যান এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মাসুমের বড় ভাই নাজমুল হাসান জনি বাদী হয়ে মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেল পাঠানসহ ২০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা।
এ মামলায় ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকিরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন বলে দাবি মাসুমের পরিবারের।
এ ঘটনার কয়েকদিন পর মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ময়মনসিংহ দ্রুত বিচার আদালতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সানু অ্যান্ড কোং’র স্বত্ত্বাধিকারী মো. সানু মিয়া।
তিনি জানান, ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকার ১৩৫টি বগি নিলামে কিনেন। স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে এসবের দেখভাল করতেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাসেল পাঠান। কিন্তু গত ৩১ অক্টোবর দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুম ও তার অনুসারীরা পিস্তল, ককটেল নিয়ে সানুর শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এছাড়া বগির লেজার প্লেট, ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার, আটটি কাটার সেটসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে মাসুমের অনুসারীরা। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মাসুমসহ তার ১৬ অনুসারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আদালতে মামলা দায়েরের পর বিচারক মাসুদুল হক কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে মামলার এজাহার নিতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর মাসুমের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এমএএএম/জিপি