বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় শনিবার (১৮ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজিত হচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওংয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী এনে ঢাকায় শো-ডাউন করেছে দলটি।
এরপরই ১৮ নভেম্বর সোহওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন নিয়ে আয়োজিত এই সমাবেশকে রাজনৈতিক কাউন্টার বা পাল্টা শো-ডাউন নয় বলে দাবি করছে ক্ষমতাসীন দল।
তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের একটি নাগরিক গণজমায়েত আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নাগরিক সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত কাজ দেখতে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতায় বিশ্ববাসী দেশের প্রতিটি নাগরিক, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে তারা সবাই এই নাগরিক সমাবেশে যোগ দেবে বলে আমরা আশা করছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ এ যাবতকালে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে। এটা আওয়ামী লীগের সমাবেশ না, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক সমাজ এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন সমীকরণে জনসভা, সমাবেশের মতো বড় বড় গণজমায়েতের কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়া হবে। প্রতি বছরই আওয়ামী লীগ বিজয় দিবসে রাজধানীতে বিজয় র্যালির আয়োজন করে। এবারের বিজয় দিবসের র্যালিতে বড় ধরনের শো ডাউনের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি বড় ধরনের গণজমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। রাজধানীতে এ ধরনের গণজমায়েতের পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা শহরেও বড় বড় গণজমায়েতের কর্মসূচি নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের স্বীকৃতিও একটি ঐতিহাসিক বিষয়। তাই এই গণজমায়েতকেও ঐতিহাসিক রূপ দিতে চায় আওয়ামী লীগ।
নাগরিক সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব। বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মূল মন্ত্র হিসেবে কাজ করেছিলো। এই ভাষণ বিশ্বে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক সমাজ এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাপক ও বিশাল জনসমাগম ঘটানো হবে এই নাগরিক সমাবেশে। আমরা প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কর্মীসভা, বর্ধিত সভা করে বলে দিয়েছি সর্বচ্চো জমায়েত নিয়ে আসতে। ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। নেতাকর্মী সমর্থকরা উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবেশে অংশ নেবেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বাংলানিউজকে বলেন, নাগরিক সমাবেশে জনসমাগম ঘটাতে বিশাল প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আমরা থানা, ওয়ার্ডে বর্ধিত সভা করেছি। সমাবেশে ব্যাপক গণজমায়েত হবে।
**৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি সবাই মিলে উদযাপন করবো
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৭
এসকে/এমজেএফ