উদ্যানের চারপাশের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
কাকরাইল মোড় থেকে মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট মোড় হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের টিএসসি-শাহবাগ মোড় পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টেই রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা।
এসব এলাকায় যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতেও দেখা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্যানের ভেতরে ও বাইরে চারপাশেই পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
পুলিশের সব ইউনিটের সদস্যরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে মাঠে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্যানের আশপাশের এলাকায় পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি করছে।
কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহ হলেই তার তল্লাশি করতেও দেখা গেছে। সেই সঙ্গে সড়কের পাশে ও মাঝে জটলা সৃষ্টি না করার আহ্বানও জানাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
এই সড়কগুলোতে যাতে যানবাহনের অহেতুক কোনো যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকেও কাজ করতে দেখা গেছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে এলাকায় এমনটাই দেখা গেছে।
একাত্তরে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে সকাল থেকেই জনমানুষের ঢল দেখা গেছে।
সমাবেশে অংশ নিতে সর্বস্তরের মানুষ দলে দলে আসছেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকরাইল থেকে আসা মিছিলগুলোকে মৎস্য ভবনের সামনে ভীড় না করার জন্য হ্যান্ড মাইকে অনুরোধ করছে পুলিশ সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এসজেএ/এসএইচ