৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। দুপুর ২টা ৩৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সুবৃহৎ নাগরিক সমাবেশ এটি।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণে ৭ মার্চে সাত কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধুর একটি আঙুলের নির্দেশে স্থির হয়েছিলেন। তার ভাষণে অন্ধকার খুঁড়ে জেগে উঠেছিল আলোর ফুয়ারা।
ইউনেস্কো ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ায় সংস্থাটির মহাপরিচালের প্রতি ধন্যবাদ প্রস্তাব পড়ে শোনান ওবায়দুল কাদের। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইতিহাসের এক অনন্য মুক্তির বাণী। এর মধ্য দিয়ে একটি জাতি, একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে।
ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতোদিন পাকিস্তানিরা যুদ্ধ চাপিয়ে না দেয়, ততোদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। তার এই ভাষণ শোষিত মানুষের, গণতন্ত্রকামী মানুষের এবং মানবাধিকারের পক্ষের। দেশে দেশে যুগে যুগে এই ভাষণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।
আজ থেকে ৪৬ বছর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তখনকার রেসকোর্স ময়দান) স্বাধীনতাকামী ৭ কোটি মানুষকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। উত্তাল জনসমুদ্র যখন স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে উদগ্রীব, তখনই বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করলেন তার চূড়ান্ত আদেশ, ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো; এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ…। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৭
এসকে/আইএ