এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে কমিটি স্থগিত চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা।
সূত্রমতে, গত ২২ নভেম্বর সকালে উপজেলার ৭নম্বর রামগোপালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৭ সদস্য বিশিষ্ট আশংকি কমিটি অনুমোদন দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ।
স্থানীয় ইউনিয়ন ও যুবলীগের অভিযোগ, নবগঠিত ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি মনসুরের দাদা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং আরেক দাদা উত্তর জেলা বিএনপির র্শীষ নেতা। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুলের বাবা স্থানীয় ১নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং তাদের পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের অভিযোগ, এরআগেও উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে সক্রিয় ছাত্রদল কর্মী তামিম হোসেনকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
তবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জানান, মনসুরের দাদা মরহুম নাজিম উদ্দিন গৌরীপুর আওয়ামী লীগের প্রথম সংসদ সদস্য ছিলো। মূলত স্থানীয় চেয়ারম্যানের পছন্দের ছেলেদের কমিটিতে না রাখায় তারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগকারীরা চেয়ারম্যানের পকেটের লোক। আমি ব্যক্তি স্বার্থে ছাত্রলীগ করি না। যাদের কমিটি দেওয়া হয়েছে তারা দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মী।
এসব বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব বলেন, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে যদি সত্যিই বিএনপি পরিবারের সন্তানদের কমিটি করা হয় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এমএএএম/ওএইচ/