তিনি বলেছেন, সব বিষয়ে আলোচনা করা ভালো। ছাত্রলীগের স্কুল কমিটির ধারণা সঠিক নয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলা একাডেমিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনিতেই ছেলে-মেয়েদের পিঠে বই-পুস্তকের বোঝা, তার ওপর রাজনীতির বোঝা চাপানোর দরকার নেই। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতি থাকতে পারে। এসব জায়গায় ছাত্রলীগের কমিটি আরও পরিশীলিত করতে হবে।
‘তবে সেখানে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সে বিষয়ে ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে। সামনে নির্বাচন, তাই ছাত্রলীগের কাজের জন্য দলের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ’
তিনি বলেন, এ ধরনের আলোচনা সভাগুলো ঘরোয়া সেমিনার ধরনের না হওয়াই ভালো। এমন আলোচনা সভা বটতলায় হতে পারে। যাতে ছাত্রলীগের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে ওঠে।
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন নিয়ে সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রংপুর নিয়ে নানা ধরনের লেখা হচ্ছে। কেউ কেউ আদা জল খেয়ে রাজনৈতিক কারণে নেমে পড়েছেন আমাদের বিরুদ্ধে। আমরা সেটা বুঝি।
‘রংপুরে মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় হয়েছে কিন্তু কাউন্সিলরে প্রথম। দলের ১৪ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, আরও ছয়জন স্বতন্ত্র কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করবেন। ’
তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে বিএনপির সাতজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির মাত্র দু’জন। এসব লেখা হয় না। এসব না লিখে বলা হয়, আওয়ামী লীগ তলানিতে চলে গেছে!
এ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জিতলে বলে নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা আছে। হেরে গেলে বলে আস্থা নেই। কুমিল্লায় আস্থা ছিল, রংপুরে আস্থা নেই।
‘আপনাদের টেনে তুলবে কেমনে? আপনারা সেকেন্ড (দ্বিতীয়) না তো, থার্ড (তৃতীয়)। থার্ডকে টেনে তুলবে কীভাবে? তাহলে কি জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসন আপনাদের দিতে হবে আস্থা রাখার জন্য?’ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রাখেন কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এসকে/ এমএ