ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

ড. কামালের সমালোচনায় আব্দুর রাজ্জাক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭
ড. কামালের সমালোচনায় আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখছেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: বাংলানিউজ

ময়মনসিংহ: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ড. কামাল কোন মুখে সরকারকে অবৈধ বলেন? তিনি তো কোনো দিন ভোটে নির্বাচিত হননি। ভোটে দাঁড়ানোরও সাহস পাননি তিনি।

তিনিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন।  

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে ময়মনসিংহ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত বিজয় পতাকা মিছিলের আগে এক সমাবেশে ড. রাজ্জাক এ কথা বলেন।  

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, পাকিস্তানের পদলেহনকারীরা আজ ষড়যন্ত্র করছে। ড. কামালের মতো কিছু বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ নীল কুঠিরের ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্র-বিরোধীদের ক্ষমতায় বসাতে চান।  

‘ড. কামাল নন, বঙ্গবন্ধুই সংবিধানের প্রণেতা’ উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে সংবিধান হয়েছে। সুশীল সমাজের ড. কামাল ক’দিন আগে বলেছেন, এ সরকার নাকি অবৈধ? অথচ প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। আমেরিকার সিনেট মেম্বার, কংগ্রেস মেম্বার এবং গণতন্ত্রের সুতিকাগার ব্রিটেনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়।  

আওয়ামী লীগকে আরও সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এ খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নৌকা ও (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।  

ড. রাজ্জাক বলেন, খালেদা ও তার পরিবার এবং প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা অবৈধ ক্ষমতার বিস্তারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ইতোমধ্যে তা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে।  

তিনি প্রশ্ন করেন, এ টাকা কার? এ টাকা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসতে চান, জনগণের টাকা লোপাট করার জন্য।  

‘২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়া ৩৩ লাখ টাকা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য জরিমানা দিয়েছেন। তার দুই ছেলে চোর, এ কারণে তার গলাও অনেক বড়। খালেদা-তারেকের জায়গা বাংলার মাটিতে কোনো দিন হবে না। ’

ময়মনসিংহ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ক্ষমতাসীন দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।  

বিজয় পতাকা মিছিলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ,  মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল আলম লিটন প্রমুখ অংশ নেন।  

পরে বিজয় পতাকা মিছিলটি নগরীর গাঙ্গিনারপাড় মোড়, নতুন বাজার, জিলা স্কুল মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টাউন হল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭ 
এমএএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।