সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন বাংলানিউজকে বলেন, বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগের ওপর পুলিশি হামলা এবং ছাত্রলীগের নেতাকে পিসিপি কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে।
এর আগে রাতে জেলা শহরের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর হয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, ছাত্রলীগ কর্মী বিপ্লব মজুমদার, শহরের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম স্বজন, ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. শফি। এদের মধ্যে শফির অবস্থার গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ২০-২৫ জন কর্মী শহরের রাজবাড়ি এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুপায়ন চাকমাকে একা পেয়ে মারধর করে। প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরের বনরূপা এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
কোর্ট বিল্ডিং এলাকায়ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রলীগের একটি অংশ। সেখানে যোগ দেয় শহরের কলেজ গেইট এলাকা, ভেদভেদী, তবলছড়ি, রিজার্ভবাজার এলাকার ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তাপ ছড়ালে পুলিশ কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় জড়ো হয়। এসময় ছাত্রলীগ কর্মীরা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, বিনা উসকানিতে পুলিশ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনকে আঘাত করে। এতে তাদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ শতাধিক ফাঁকা গুলি এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো তথ্য জানা যায়নি। সংঘর্ষের সময় পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেড়ঘণ্টার বেশি সময় এ সংঘর্ষ চলে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সুজন জানিয়েছেন, হরতালের পাশাপাশি সুপায়নকে মারধর করায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তবে সুপায়নকে মারধরের বিষয়ে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ দাবি করছে, ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সদস্য জড়িত ছিলেন না। পরিষদকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এইচএ/
** রাঙামাটিতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, আহত ৩০