মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরূপা, কলেজ গেইট, ভেদভেদীসহ বিভিন্নস্থানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে।
নাশকতা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোড়দার করা হয়েছে।
এদিকে, হরতালের কারণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দুরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছেড়ে যায়নি রাঙামাটির ৬টি উপজেলার কোনো লঞ্চও। তবে হরতাল চলাকালে এখনো পর্যন্ত কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি।
শহরের অভ্যন্তরীন পরিবহনের একমাত্র বাহন সিএনজি অটোরিকশা চলাচলও সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সকল যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত রয়েছে। তবে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা খোলা থাকলেও লোকজনের উপস্থিতি ও কাজকর্ম তেমন নেই।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমাকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়কে অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশ বিভিন্নস্থানে কমপক্ষে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
অন্যদিকে, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। শহরে সব ধরনের যান চলাচল এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এতে ছাত্রলীগ, সাংবাদিক এবং পুলিশসহ ৩০ জন আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে তাৎক্ষণিক হরতাল ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
টিএ