বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ওই সংগঠন।
রোববার (২৫ মার্চ) সকালে জেলা শহরের কদমতলী এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি কোর্ট চত্বর হয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যেতে চাইলে প্রেসক্লাব এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা আওয়ামী লীগের উপ দফতরবিষয়ক সম্পাদক জুয়েল চাকমা, সদর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরুল আজম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা রাসেল হত্যাকাণ্ডের জন্য পৌর মেয়র রফিকুল আলম, তার ছোট ভাই দিদারুল আলমের অনুসারীদের দায়ী করে বলেন, আওয়ামী পরিবারের উপর একের পর এক হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দেওয়া হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেয়র রফিকুল আলম, দিদারুল আলম, হত্যায় জড়িত মোমিনসহ অপর আসামিদের আটকের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শহরের কদমতলী এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছয় নম্বর পৌর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী মো. রাসেল(১৭) নিহত হন। এ ঘটনার জন্য রাসেলের পরিবার ও ছাত্রলীগ পৌর মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীদের দায়ী করছেন।
এদিকে আসামিদের ধরতে পুলিশ মাঠে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন টিটু।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এএটি