মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন তারা।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর দেড় কোটি টাকার গাড়িটি চলে কি বাতাসে? আর ড্রাইভারও কি হাওয়া খেয়ে গাড়ি চালান? মঞ্জু যে আলিশান বাড়িতে বসবাস করে তার মাসিক ভাড়া কম করে হলেও ২০ হাজার টাকা।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, ৭৭ সাল থেকেই আমি নির্বাচন করছি। সব নির্বাচনেই আমি হলফনামা দিয়েছি। কোনো সময় কোনো তথ্য গোপন করে হলফনামা জমা দেইনি। আমি ও আমার স্ত্রী একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। লাভজনক যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে আমি জড়িত রয়েছি, সব কিছুর হিসাব দাখিল করেছি। এখানে চতুরতার কোনো বিষয় নেই।
তিনি বলেন, আমি হলফনামায় সাউথ-বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বিষয়ে উল্লেখ করেছি। আমার এলাকায় লখপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠান থাকায় সুপারিশ করে এলাকাবাসীর চাকরির ব্যবস্থা করেছি। লখপুর গ্রুপের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন বলেন, এই বাজারে পাজেরো গাড়ি চালিয়ে, আলিশান বাড়িতে থেকে, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে ১৫/১৬ হাজার টাকায় চলা যায় না তা সবাই জানেন। তাহলে কি আমরা ধরে নেবো যে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অবৈধ ব্যবসা আছে? অথবা তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র থাকা অবস্থায় যে ৭শ’ কোটি টাকা রেখে এসেছিলেন তা বর্তমান মেয়র মনি ও মঞ্জু ভাগবাটোয়ারা করে খেয়েছেন?
তিনি বলেন, অপপ্রচার বন্ধ রাখুন, না হলে আপনার হাড়ির খবর বের করে আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মেয়র প্রার্থী ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, নগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এমপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমআরএম/এমজেএফ