মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছোট ছোট সমস্যার সমাধান ঘরে বসে করে ফেলুন।
ছয় মাস পর পর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে জরিপ করা হচ্ছে। জরিপে যাদের নাম আসবে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন তারাই পাবেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের যে ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি দরকার তা রাজধানী ঢাকা মহানগরের ঐক্যবদ্ধতা দিয়েই শুরু হতে পারে। এখানে বিভেদ অব্যাহত থাকলে অন্যরা সুযোগ নেবে। আমাদের বুঝতে হবে যে ঘরের ভেতর ঘর তৈরি হলে পরিণতি ভালো হয় না। সুতরাং আগামী নির্বাচনের জন্য নিজেদের তৈরি হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লোভ দেখানো প্রতিশ্রুতি দিলেও অন্তরে তা লালন করে না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমর্থন করেনি, বিরোধিতা করেছে, তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশে বাস করেও তারা পাকিস্তানের সেবাদাস।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিলো। ২১ আগস্ট বিএনপির সরকার আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। তাদের যুবরাজ তারেক রহমান এখন টেমস নদীর পাড়ে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, তারা ৯ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়েও ৯ মিনিটের জন্য রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি। আমরা বাধাও দেইনি। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ওই তারেক রহমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আমরা দেখেছি, তারেক রহমান লন্ডনে বসে এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তার একটি অডিও টেপ আমরা শুনেছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, কষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাহারা খাতুন, আব্দুস সোবহান গোলাপ, মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮/আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা
এসই/এমজেএফ